সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সম্পূর্ণ খবর
শ্যামশ্রী সাহা | | Editor: উপালি মুখোপাধ্যায় ১২ মার্চ ২০২৪ ০১ : ৪৫
শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় শুরু। পার করেছেন ইন্ডাস্ট্রির চড়াই উৎরাই। নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে আর কী পরিকল্পনা আর্য দাশগুপ্তর? জেনে নিলেন শ্যামশ্রী সাহা
প্রশ্ন: জুনিয়র আর্টিস্ট হিসাবে কাজ শুরু করে এখন আপনি মুখ্য চরিত্রে
আর্য: ১২ বছর বয়সে ‘রংবাজ’ ছবিতে দেবদার ছোটবেলার চরিত্রে কাজ করেছি। তার আগেও জুনিয়র
আর্টিস্ট হিসাবে কাজ করেছি। রমাপ্রসাদ বণিকের ছাত্র। নেহরু চিলড্রেন্স মিউজিয়ামে নিয়মিত অভিনয় করি। রাজ চক্রবর্তীর সিরিজ ‘আবার প্রলয়’, ‘বনবিবিতে’ আমার অভিনয় দর্শকদের ভাল লেগেছে। প্রশংসা পাচ্ছি। ভাল লাগছে। এটাই তো স্বপ্ন ছিল।
প্রশ্ন: মাঝে ছোটপর্দায় কাজ করেছেন, পরিচিতি বাড়াতে?
আর্য: আমি ‘স্লো বাট স্টেডি’তে বিশ্বাসী। ভাল কাজের জন্য অপেক্ষা করতে পারি। হঠাৎ করে লাইমলাইটে চলে এসেছি এমন নয়। এর জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। থিয়েটার, সিনেমা ছাড়াও এই মাধ্যমটাকেও বুঝতে চেয়েছিলাম। এক বছর টানা কাজ। রোজ একই লোকজনের সঙ্গে দেখা। এখানে একটা বন্ডিং তৈরি হয়। সেই সম্পর্কটাকে তৈরি করতে চেয়েছিলাম। ধারাবাহিকে কাজ করলে অর্থনৈতিক সাপোর্টটাও পাওয়া যায়। টেলিভিশনে ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ দিয়ে শুরু। ওখান থেকেই রানাদা আমাকে ছবিতে নেওয়ার কথা ভাবেন।
প্রশ্ন: ছোটবেলার চেনা ইন্ডাস্ট্রি এখন কতটা বদলেছে?
আর্য: যখন ‘রংবাজ’ করেছিলাম, তখন প্রচুর বাণিজ্যিক ছবি হত। প্রায় সবই সুপারহিট। এখন বাণিজ্যিক ছবির সংখ্যা কমে গিয়েছে। দর্শক সিনেমাহলে কম যান। বাড়িতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ছবি বা সিরিজ দেখছেন। বাংলা ছবির এই বাণিজ্যিক দিকটা নিয়ে ভাবতে হবে।
প্রশ্ন: অল্প বয়স থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার ফলে কাজ পেতে সুবিধা হয়?
আর্য: প্রচুর স্ট্রাগল করতে হচ্ছে এখনও। আমার ইন্ডাস্ট্রিতে আসা বাবার জন্য। বাবা ক্রিকেট খেলেন। সরকারি চাকরি করেন। বাবার খুব ইচ্ছে, আমি অভিনয় করি। যেদিন আমি জন্মেছি সেদিন ‘কহো না প্যায় হ্যায়’ রিলিজ করেছিল। সেদিন থেকে বাড়িতে সবাই ডুগ্গু বলে ডাকে। আমিও ছোটবেলা থেকে হৃতিকের ফ্যান। হৃতিক রোশনের ডান্স আয়নার সামনে প্র্যাকটিস করতাম। অভিনয়ে আসার আগে প্রফেশনাল ডান্সার ছিলাম। গ্রামে-গঞ্জে স্টোজ শো করতে যেতাম। একটা মিষ্টির প্যাকেট পেতাম। ২০০৭ থেকে ২০১২ প্রচুর স্ট্রাগল করেছি। রোজ খড়দহ থেকে বাবার সঙ্গে বাইকে নেহেরু চিলড্রেন্স মিউজিয়ামে আসতাম। তারপর টালিগঞ্জে গিয়ে অডিশন দিতাম। কত বার রিজেক্ট হয়েছি।
প্রশ্ন: ছোটবেলা থেকে অভিনয় করছেন, পরিচিত মুখ, তাও রিজেকশন?
আর্য: বলতে পারব না। এখানে ঢুকতে গেলে স্ট্রাগল করতেই হয়। চট করে চোখে না পড়লে, নিজেকে প্রমাণ করার জায়গা না পেলে সমস্যা হয়।
প্রশ্ন: রাজ চক্রবর্তীর চোখে পড়লেন তো?
আর্য: ‘চ্যাম্প’-এ প্রথম রাজদার সঙ্গে কাজ করেছি। দেবদার ছোটবেলার চরিত্রে। ওই সময় দাদা বলেছিলেন, একটা ছবিতে নায়কের চরিত্র দেবেন। ছবিটা হয়নি। কিন্তু আমার কথা রাজদার মাথায় ছিল। এরপর একটা মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছিলাম। এক বছর পর সিরিজ ‘আবার প্রলয়ে’র জন্য ডাকলেন। সিরিজটা দেখার সময় নিজেকে চিনতেই পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল এই কাজটা আমি করেছি!
প্রশ্ন: শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের (অনিমেষ) কাছে মারও খেতে হয়েছে...
আর্য: প্রচণ্ড। একটা ঘুষি খেয়ে নাক ফুলে গিয়েছিল। ঘুষিটা মারার সময় চিট করতে পারিনি। এগিয়ে গিয়েছিলাম। অপুদারও খারাপ লেগেছিল।
প্রশ্ন: রাজ চক্রবর্তীর পরের ছবিতে ডাক পেলেন?
আর্য: আমার করার মতো চরিত্র থাকলে নিশ্চয়ই ডাকবেন।
প্রশ্ন: ‘বনবিবি’তে মুখ্য চরিত্র, স্বপ্নপূরণ না টার্নিং পয়েন্ট?
আর্য: ‘বনবিবি’ আমার কাছে বেশ কঠিন, রোমাঞ্চকর, আনন্দের। এই ছবি করতে গিয়ে সুন্দরবন সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। বড় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছি। দিব্যেন্দুদার (ভট্টাচার্য) সঙ্গে কাজ করছি ভাবলেই টেনশন হত। সেটা প্রথম দিনই উনি দূর করে দিয়েছিলেন। ঢোল বাজানো শিখেছি। রোজ রাজদীপদা, রানাদা, ভাস্করদা ওয়ার্কশপ করাতেন। সকাল ৮টা থেকে তিন ঘণ্টা ঢোল শেখার তালিম নিয়েছি। সুন্দরবনে শুটিং যখন থাকত না গ্রামে গিয়ে সেখানকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ওদের কথাবলার ধরন, চলাফেরা শিখতাম। ‘বনবিবি’ এখনও পর্যন্ত আমার কেরিয়ারে সব থেকে ভাল অভিজ্ঞতা।
প্রশ্ন: অধিকাংশ ক্ষেত্রে নায়িকারা আপনার থেকে বড়, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও করছেন, বেশ সাহসী আপনি?
আর্যা: কোনও এজ গ্রুপে না রেখে যে দর্শক আমাকে পছন্দ করছেন, এটা আমার প্রাপ্তি। হয়তো চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলতে পারছি।
প্রশ্ন: মানসী সিনহার পরিচালনায় কাজ করলেন। কেমন অভিজ্ঞতা?
আর্যা: ‘এটা আমাদের গল্প’-তে। এখানেও অপুদা আছেন। ওঁর ভাইপোর চরিত্রে কাজ করেছি। বেশি কিছু বলতে পারছি না। খুব সফট, মজার চরিত্র। দর্শকের ভাল লাগবে। মানসী আন্টিকে ছোটবেলা থেকে চিনি। ওঁর পরিচালনায় কাজ করতে পেরেছি এটাও একটা পাওনা। পরিচালক হিসাবে মানসী আন্টি দারুণ।
প্রশ্ন: নানা ধরনের চরিত্রে কাজ করছেন, নায়ক হতে চান না?
আর্য: নিজেকে ভাঙতে চাই। এক ধরনের চরিত্রে কাজ করতে চাই না। তবে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। আমি চাই সেভাবেই আমাকে তৈরি করা হোক। আমি চাই কমার্শিয়াল ছবিতে নায়ক হিসাবে আমাকে লঞ্চ করা হোক। যেখানে অ্যাকশন, ড্রামা, রোমান্স থাকবে। ‘প্রেম আমার’-এর মতো একটা ছবি করতে চাই। এটা আমার ছোটবেলার স্বপ্ন।
প্রশ্ন: আর ধারাবাহিকে দেখা যাবে?
আর্য: অনেকেই আমাকে ভেবে চিত্রনাট্য লিখছেন। তবে বড়পর্দায় পছন্দের চরিত্র পেলে সেদিকেই ফোকাস করব। এখন ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ নিয়ে কাজ করতে চাই।
বিশেষ খবর
নানান খবর
নানান খবর
সাত বছরের দাম্পত্যে গৌরবকে নিয়ে কী উপলব্ধি করলেন ঋদ্ধিমা? সমাজ মাধ্যমে দিলেন কীসের ইঙ্গিত!...
১৮ বছর পর বনশালির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? কতটা বদলেছেন ‘সাওয়ারিয়া’-র পরিচালক? খুল্লম খুল্লা রণবীর...
ইমরানের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে চুমু খেতে গিয়ে কী হাল হয়েছিল মল্লিকার? ফাঁস ‘মার্ডার’ অভিনেত্রীর!...
ডনের দেশে ভারতীয় দলের দাদাগিরি, তাল মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে দর্শকহৃদয় লুঠ ‘বহুরূপী’র!...
কোন বলি-অভিনেত্রী ভেবেছিলেন গোবিন্দাকে গুলি করেছিলেন তাঁর স্ত্রী? ক্রুষ্ণাকে বুকে জড়িয়ে সেকথা ফাঁস অভিনেতার!...
বিয়ের প্রস্তুতি শুরু বিজয়-তমান্নার! কবে সাতপাকে বাঁধা পড়বেন তারকা জুটি?...
ছোটপর্দায় একসঙ্গে টলিপাড়ার চার নায়িকা মানালি, দীপান্বিতা, খেয়ালী ও তিয়াসা! হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কে জিতবেন দর্শকের ...
মাকে হারালেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত! ভাইকে পাশে নিয়ে শোকে কাতর অভিনেত্রী ...
Breaking: সত্যের সন্ধানে সুরঙ্গনা! রহস্যের জালে কার মুখোশ খুলবেন অভিনেত্রী?...
রাজ কুন্দ্রা না সানি দেওল! স্বামী ও সহ অভিনেতার মধ্যে দোটানায় পড়ে কাকে বেছেছিলেন শিল্পা?...
প্রসেনজিৎ-অনির্বাণের ছবির সহ-পরিচালক এবার অভিনেত্রী, রজতাভ দত্তের সঙ্গে তাঁকে দেখা যাবে কোন ছবিতে? ...
'রাজার মতো ভাল থেকো...', বাবাকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ রাইমা, ছোটবেলার স্মৃতিতে ডুব দিয়ে আর কী লিখলেন অভিনেত্রী?...
ছেলের জন্মের ১৬ মাসের মধ্যে সুখবর দিলেন সানা খান, কেন ছাড়তে হয়েছিল অভিনয়? ...
নাসিরুদ্দিনের শাহ-এর কথায় চিৎকার,তারপর বিরাট ঝামেলা, কেন? বিস্ফোরক বিধু বিনোদ চোপড়া...
‘ব্যক্তিগত জীবনে স্বার্থপর ছিল তবে কাজের সময়…’ ইরফানের অজানা সব কথা ভাগ কোন পরিচালকের?...